জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাজু বলেন, অংকন বিশ্বাসের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতার জন্য আমরা যেভাবে সবাই এগিয়ে এসছিলাম, তেমনিভাবে এই মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনেও আমরা সবাই এগিয়ে আসব আমরা সবাই এই প্রত্যাশা করছি।
অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী পিয়াল দাস অনুপ বলেন, অংকন বিশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। ডিপার্টমেন্টে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগেও তিনজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর রহস্য এখনো উদ্ঘাটন হয়নি। এ ঘটনাও যাতে আগের মতো ধামাচাপা পড়ে না যায় সেজন্য সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করছি।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিকুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকেই আমি অংকন দিদির সাথে মিশেছি। তার কাছ থেকে বিতর্ক শিখেছি, একসাথে বিতর্ক করেছি। তার মতো স্পষ্টভাষী, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, আত্মবিশ্বাসী ও মেধাবী শিক্ষার্থী কোনোভাবেই আত্মহত্যা করতে পারেন না। আমি বলছি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অভিরাজ অভি বলেন, অংকনের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি জানাচ্ছি এমন মেধাবী শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে আমরা কেউ ই এটাকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে মেনে নিতে পারছি না। মানসিক যন্ত্রণাই মৃত্যুর অন্যতম কারন বলে মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনতে সুদৃষ্টি কামনা করছি।
উল্লেখ্য যে, গত ৭মে রাত ১১টা ৩০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন অংকন।
এর আগে ২৪ এপ্রিল রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে এ অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি করা হয় পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে বিএসএমএমইউতে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ মে মারা যায় অংকন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।